পীরগঞ্জ (রংপুর) থেকে মোস্তফা
রংপুরের পীরগঞ্জে ভূমি অধিগ্রহন নিয়ে জটিলতার কারনে নির্ধারিত সময়েও শেষ হয়নি পীরগঞ্জের করতোয়া নদীর উপর নির্মানাধীন নুনদহ ব্রীজ । ফলে প্রায় ৫৭ কোটি টাকা ব্যায়ে এ ব্রীজ নির্মানের সমাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে ।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, জাতীয় সংসদের স্পিকার ও রংপুর-৬(পীরগঞ্জ) আসনের এমপি ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী পীরগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল এবং দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর উপজেলার মানুষের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষে করতোয়া নদীর উপর এ ব্রীজ নির্মানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন । সে নির্দেশের আলোকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিডির) আওতায় সি,আই,বি প্রজেক্টের মাধ্যমে করতোয়া নদীর পার্শ জয়ন্তীপুর ঘাট থেকে গোপিনাথপুর পর্যন্ত করতোয়া নদীর উপরে ১৫ শত চেইনিজে ২৯৪ মিটার দীর্ঘ পি,এস,সি গার্ডার ব্রিজ নির্মানের জন্য (প্রাক্কলিত মুল্য) ২৯ কোটি ৪৮ লক্ষ ৯৪ হাজার ২শত ৩ টাকা বরাদ্ধ দেয়। সে সঙ্গে উক্ত প্রকল্পের আওতায় “ চতরা জি,সি গিলাবাড়ী ঘাট ভায়া নিশ্চিন্তবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কে নুনদহ ঘাট পর্যন্ত ৪ হাজার ৫ শত মিটার চেইনিজে করতোয়া নদীর উপর অপর ১টি ব্রিজ নির্মানের জন্য (প্রাক্কলিত মুল্য) ২৬ কোটি ৮২ লক্ষ ৩৩ হাজার ৮শত ৭৮ টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। টেন্ডারের মাধ্যমে কার্যাদেশ পেয়ে বিগত ২০১৮ সনের ৯ মে চট্রগ্রামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান “ পি,পি, এল, জে,ভি ” ৫২ ছাত্তার ম্যানসন ও প্যান্স লাইন্স ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু করে । শর্তানুযায়ী চলতি ২০২০ সনের ২২ সেপ্টেম্বর তারিখের মধ্যে উক্ত কাজ সমাপ্ত হবার কথা । অথচ অদ্যবধি নুনদহ ব্রীজের ৪৪ শতাংশ এবং অপর সংযোগ ব্রীজের ৩৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ স্থগিত রেখেছেন ।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী মানিক মিয়া জানান, নুনদহ ব্রিজের জন্য ৫ একর ৩৩ শতাংশ এবং অপর সংযোগ ব্রীজের জন্য ৪ একর ৭৬ শতাংশ সর্বমোট ১০ একর ৯ শতাংশ জমি এখনও অধিগ্রহন সম্পন্ন না হওয়ায় ব্রীজের নির্মান কাজে অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়েছে । কাজ করতে গিয়ে বারবার জমি মালিকদের কাছ থেকে বাধার সম্মুখিন হচ্ছি ।
এ দিকে ব্রীজ সংলগ্ন এলাকার জমির মালিক সবুজ , রানু, রাসেল ও রিপন সহ অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রীজ ও রাস্তা সংলগ্ন তাদের অনেকের জমি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং সে জমি টুকুই তাদের সম্বল । সরকার জমি অধিগ্রহনের টাকা দিলে তারা অন্য স্থানে জমি ক্রয় করবেন এবং কাজে বাধাও দিবেন না । সে সঙ্গে সরকারের কাছে তাদের অনুরোধ জমির মালিকেরা যেন প্রতারিত না হন ।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী নুরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমরা জেলা প্রকৌশল বিভাগের অনুমোদন ও ঢাকা¯’ প্রধান প্রকৌশল দপ্তরের অনুমোদন পত্র নিয়ে বিগত ২০১৯ সনের ২৫ আগষ্ট পীরগঞ্জ উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভ‚মি) এর কার্যালয়ে জমা দিয়েছি । জেলা ভ‚মি কার্যালয় হতে অনুমোদন এলেই জমির মালিকগন জমি অধিগ্রহনের টাকা পাবেন এবং ব্রীজের কাজেরও গতি বাড়বে।